গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া থেকেঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একই উপজেলায় দুইটা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শাখা অফিসের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নানা অনিয়মের কারণে গোপালগঞ্জের রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি শাখা নির্ধারিত সময়ের পরেও টাকা পরিশোধ না করার গ্রাহকের মাঝে চরম অসন্তুষ্ট বিরাজ করছে। বছরের পর বছর ঘুরেও টাকা না পেয়ে ভুক্তভোগীরা টুঙ্গীপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করেছেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, রূপালী লাইফ ও পর্দা লাইফ বীমা কোম্পানিতে তাদের বীমা নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না, এবং আমাদেরকে তিন বছর মেয়াদি বীমা করে দেয়াড় কথা বলে ১৫ বছর মেয়াদ করে দেন এই রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কিছু মাঠ কর্মী ফিল্ডে কাজ করে আমাদেরকে লোভনীয় অফার করে আমাদেরকে তিন বছর মেয়াদে বীমা করিয়ে দেয় পরবর্তী তিন বছর হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের টাকা আনতে গেলে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয় এবং আমাদেরকে জানানো হয় যে আপনাদের ১৫ বছর মেয়াদি বিমা পলিসি করা ১৫ বছর এর আগে বীমা টাকা উত্তোলন করা যাবে না।
কিছু ভুক্তভোগী জানান আমাদেরকে তিন বছরের বীমা পলিসি করে দেয়াড় কথা বলে আমাদের সাথে প্রতারণা করছে তাই আমরা আমাদের মূল টাকা ফেরত পেতে পারি তার জন্য আমরা মানববন্ধন করেছি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সামনে।
রাসেল নামের এক ভুক্তভোগী জানান, টুংগীপাড়া শাখার মডেল সার্ভিসের রাকিবুজ্জামান ও তার ভাই শফিকুজ্জামান আমাকে তিন বছরের বীমা করিয়ে দেয়।এবং আমি ২০২২ সাথে প্রথম বছরে ৫০২০০টাকা জমা করি, পরবর্তী ২০২৩ সালে ৫০,২০০ টাকা টাকা জমা রাখি, ২০২৪ সাথে ৩৯ হাজার টাকা রাখি পরে আমার ৩ বছর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, আমি আমার লাভের টাকা ও আমার মূল টাকা উত্তোলন করতে যায়, তখন রুপালি লাইফের মডেল সার্ভিসের জিএম রাকিবুজ্জামান বলেন আপনি ১৫ বছরের আগে টাকা তুলতে পারবেন না আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি আমাকে তিন বছরের মেয়াদি বিমা পলিসি করে দিয়েছেন এখন ১৫ বছর হলো কীভাবে এটা তো আপনি আমার সাথে প্রতারণা করছেন। পরে আমি রূপালী লাইফ টুঙ্গীপাড়া শাখার সাঈদ সাহেব এর কাছে যায়, সাঈদ সাহেব আমার অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন আমার অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ টাকা আছে বাকি টাকা জমা করা নাই।
পরে আমি জিএম রাকিবুজ্জামানের কাছে গেলে তিনি আমাকে বলেন আপনি আমাদের কে ৩৯০০০ হাজার টাকা দিয়েছেন ওই টা আমরা জমা করি নাই ওই টাকা টা আমাদের কাছে রেখে দিয়েছি পরে আমি আমার টাকা ফেরত চাইলে আমাকে নানা অজুহাত দেখান। ভুক্তভোগী রাসেল বলেন পরে আমি আমার মামা কে নিয়ে ওই রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যায় তারপর অনেক কথা কাটাকাটির পরে আমাকে ৩৯ হাজার টাকা ফেরত দেন।
ভুক্তভোগী রাসেল বলেন, আমি যখন রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স মডেল সার্ভিস শাখায় টাকা জমা করি তখন আমাকে এশিয়ার আনসার আলী সাদা কাগজে টাকা জমা রাখার একটা কাগজ দেন আমাকে।
রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে যে তারা মানুষকে মিথ্যা কথা বলে তিন বছরের বীমা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ বছরের বিমা করিয়ে দেয়।
তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সকল প্রশাসনের কাছে এই রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।