গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া থেকে
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌরসভার ০৬ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী হালিমা বলেন আমার স্বামীর নিজ বাড়ি হইতে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে তার আপন ভাই রজ্জব কাজী, পিতা আব্দুর আহাদ কাজী, সাং- সরদারপাড়া কাজিরপুল। ভুক্তভোগী হালিমা বলেন আমার স্বামীরা ৩ ভাই ১ বোন । আমার স্বামী বেসরকারি চাকরি করেন ঢাকায় ও তাহার ব্যস্তটার কারণে বড়ো ভাই রজ্জব আলী কে তাহার মায়ের এবং একমাত্র বোনের নির্দেশে বড়ো ভাইয়ের উপর দায়িত্ব দেন। আমার নির্মাণাধীন ঘর তৈরির কাজ শুরু করি এমতো সময় আমার বড়ো ভাই বেকারত্ব থাকায় আমার নির্মাণাধীন ঘরে মায়ের নির্দেশে ইট বালু ও রড ও সিমেন্ট আনার জন্য আমার নিজের ইনকামের টাকা মা ও বোনের হাত দিয়ে আমার বড়ো ভাই রজ্জব আলী কে নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ শুরু করি। আমার স্বামীর মেজো ভাই রমজান আলী একতলা বিল্ডিং নির্মাণ করেন।কাজী নজরুল ওরফে মোমরেজ বলেন আমাদের পরিবারে তিন ভাই এক বোনের সম্পত্তি আনুমানিক অর্ধেক জায়গা জুড়ে ১ তালা বাড়ি নির্মাণ করেন মোজো ভাই।কাজী নজরুল ওরফে মোমরেজ এর বড় ভাইকে বলেন ছোট ভাইকে বাড়িতে ঘর করতে কিন্তু বাড়ি নীচু ও ডুবা থাকার কারণে সে আমাকে বলেন ভাডি তুমি ঘর করো আমি ভিটায় বাড়ি করবানি। মা আমার মেজো ভাইয়ের অনুমতিতে ঘর দিতে রাজি হন। এবং নীচু জায়গায় বালু ভরাট করে নির্মাণাধীন ঘর করতে শুরু করি । এমতো অবস্থায় আমার বড়ো ভাই অন্য বাসায় ভারা থাকিয়া আমার অর্থায়নে নির্মাণাধীন ঘরে প্রতিদিন দিন মজুর ভাবে কাজ করতেন। এমতো সময় আমার ঘরের কাজ সম্পন্ন হয় । আমার মা আমাকে বলেন তোর বড়ো ভাই রজ্জব কাজী পরের বাসায় ভাড়া থাকে তার প্রতিমাসের ভাড়ার টাকা দিতে কষ্ট হয় তাই ভাবছি তুই অনুমতি দিলে তোর ভাইকে বাড়ি থাকতে বলবো। তাই মা মায়ের অনুমতিতে মোমরেজ এর ঘরে থাকতে দেয়। এমতো অবস্থায় মা মারা গেলে সে নির্মাণাধীন ঘরের মালিক দাবিদার হতে চান। উক্ত ঘরের থেকে ভিটায় ঘর দেওয়ার কথা বলে না দিয়ে আমার নির্মাণাধীন ঘরে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করিইয়া আসিতেছে। বারবার অধাবদ্ধ করে ঘর থেকে নেমে যাওয়ার কথা বলে কিন্তু ঘর থেকে নামে না। তার পর থেকে আমাদের মধ্য বিরোধ তৈরি হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য মুরুব্বি নিয়ে সালিশ ব্যবস্থা করা হয়। ভুক্তভোগী হালিমা ও তার স্বামী মোমরেজ বলেন আমার বড় ভাই রজ্জক আলি সালিশি অমান্য করে আমার বউ বাচ্চাকে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ওয়ার্ড কমিশনার এসে গোপালগঞ্জ মেডিকেলে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। চিকিৎসা হয়ে এসে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন ।
আমার স্বামী কাজী নজরুল ওরফে মোমরেজ ২৬ নং পাটগাতী মৌজা সরদারপাড়ায় অন্তর্গত কাজী বাড়িতে আমার স্বামীর নিজ অর্থায়নে একখানা তিনতালা ফাউন্ডেশনে ১ তালা বাড়ি বিল্ডিংয়ের কাজ করি। আমার স্বামী ঢাকায় চাকরি করে অনেক কষ্টের পর একটা বাড়ি নির্মাণ করি কিন্তু আমার স্বামীর বড়ো ভাই এখন ঘরের বাড়ি মালিক দাবি করে আর আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাই। আমার স্বামী কাজী নজরুল ওরফে মোমরেজ সহ তিন ভাইয়ের ভালো সম্পর্ক বিধায় তিন ভাই মিলে একটা ডিফিয়েজ করে ব্যাংকে সেখানে এককালীন ৫৪,০০০ হাজার টাকা হয়। সেই টাকা রজ্জব কাজী ঢাকায় টুঙ্গিতে জমি কিনে সেই জমি আমাদের তিন ভাই এর নামে জমি কিনার কথা কিন্তু রজ্জব কাজী নিজের নামের টুঙ্গিতে জমি কিনে। ভুক্তভোগী হালিমার দুইটা বাচ্চা প্রথম বাচ্চার বয়স ৩ বছর ২য় বাচ্চার বয়স ১ বছর। এখন এই বাচ্চা নিয়ে আমি কোথায় যাবো তাই আমি টুঙ্গিপাড়ায় থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু কোনো ফলাফল পায় নাই। টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই বলে জানান ভুক্তভোগী হালিমা। এ বিষয়ে একাধিক বার গ্রাম্য সালিশি হয় কিন্তু তারা কোনো সালিশি মানেনি বলে জানান হালিমা। হালিমা বলেন রজ্জব কাজী ভয়ে এলাকার কেউ কথা বলে না তিনি একজন প্রভাবশালী। হালিমা বলেন আমাকে ও আমার স্বামীকে একাধিক বার মারধর করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি প্রধান করেন। এ বিষয়ে রজ্জক কাজীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে মুঠোফোনে না পেয়ে তার বাড়িতে গেলে তার মেয়ে কাজী রিতুর সাথে কথা বললে বলেন আমার চাচা ও আমার বাবার সাথে একাধিক বার ঝামেলা হয়। আমি চাই দুইজন কে ডেকে একটা সমাধান করে উচিত। আমার চাচা ও আমার বাবা কে নিয়ে একাধিক বার এই বাড়িতে সালিশি হয়। রিতু কাজী বলেন, আমাদের এই বাড়ি যখন নির্মাণ করেন তখন আমি নিজ হাত দিয়ে খরচের টাকা ডাইরিতে লিখে রাখি। আমার বাবা রজ্জব কাজী ও আমার চাচা মিলে এই বাড়ি নির্মাণ করেন। আমার দাদি বেঁচে থাকা অবস্থায় কোনো সমস্যা হয় কিন্তু আমার দাদি মারা যাবার পর থেকে একের পর এক ঝামেলা হচ্ছে। আমি জানি আমার বাবা রজ্জক কাজী এই বাড়ি নির্মাণ করতে সহযোগিতা করেন এবং উভয়ে মিলে ঘর নির্মাণ করেন আমার দাদির অনুমতিতে। তাই ঊর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের কাছে বিশেষ অনুরোধ আমার নিজ বাড়িতে থাকতে পারি তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী হালিমা।