এ.জেড আমিনুজ্জামান রিপন :
গোপালগঞ্জ জেলা সদরের সাবেক শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল বর্তমান গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ওয়াড মাস্টার
সোহেল সিকদার কে আজ বিকাল আনুমানিক ৩টার সময় গ্রেফতার করেন গোপালগঞ্জ সদর থানা পলিশ। গোপালগঞ্জের
ঘোনাপাড়া মোডে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের ক্রিয়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যার হামলার সাথে সংশ্লিষ্টতা
পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে
জানান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা হামলার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগ
সোহেল সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রীসহ বাবা-মায়ের
কবর জিয়ারতের জন্য গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি
বহরটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ
সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী
দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। এছাড়াও এস এম জিলানী, তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের
সভানেত্রী রওশন আরা রত্না সহ অন্তত ৩৫ জন দলীয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।
শওকত আলী দিদার নিহতের ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম
সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ সদর ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী
আসনের সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ
সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজমসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং এক হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে
গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন দিদারের স্ত্রী।