গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া থেকে :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স টুঙ্গিপাড়া শাখার মাঠকর্মী হালিমা টাকার বিনিময়ে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিশু ভাতা করে দেন এই প্রতারক হালিমা সহ তার বাহিনী।
হালিমা রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স টুঙ্গিপাড়া শাখার মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন, রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স টুঙ্গিপাড়া শাখার ম্যানেজার সাঈদ ও হালিমার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। হালিমা রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বিভিন্ন গ্রাহককে লোভনীয় অফার দিয়ে বীমা করে, তাদের কাছ থেকে যে টাকা বীমা উপলক্ষ্যে যে টাকা নেন কিন্তু সেই টাকা নিজের পকেটে রেখে দেওয়ার অনেক অভিযোগ আছে সাঈদ ও হালিমার বিরুদ্ধে। হালিমা ও সাঈদ সাহেব টাকা হলে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা , প্রতিবন্ধী ভাতা ,শিশু ভাতা করে দেন এই প্রতারক সহ তার বাহিনী। এই হালিমা টুঙ্গিপাড়া রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স টুঙ্গিপাড়া শাখার মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করে বেশ জনপ্রিয় সেই সুবাদে বিভিন্ন মানুষকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা , প্রতিবন্ধী ভাতা ,শিশু ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন সাঈদ ও হালিমা। এ বিষয়ে হালিমার সাথে কথা বললে হালিমা বলেন, আমি তাদের কাছের থেকে টাকা নিয়েছি এটা সত্যি তবে আমি শাহানারা ওরফে বেদেনাকে এই টাকা গুলা দিয়েছি ভাতা করার জন্য। শাহানারা ওরফে বেদেনা টুঙ্গিপাড়ার সর্দার পাড়া ফিরোজ এর স্ত্রী। কিছু ভুক্তভোগী জানান হালিমা মানুষের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার উপরে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে সাইড ও হালিমা।
এ বিষয়ে রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স টুঙ্গিপাড়া শাখার ম্যানেজার আবু সাইদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে অনেক বার শুনেছি তবে এর একটা সমাধানের ব্যবস্থা অতি তাড়াতাড়ি। ভুক্তভোগীদের নাম ১/ শিউলি খানম, শিশুভাতা (৮০০০) ২/রেকসোনা বেগম, শিশু ভাতা (৮০০০) ৩/ জহির আলম শেখ, শিশুভাতা (৮০০০), ৪/ আব্দুল্লাহ শেখ ও তার মাতা দুইজন এর কাছ থেকে শিশু ভাতা ও বয়স্কভাতা (১৬০০০), ৫/ রোজিনা নামক এক মহিলার একই পরিবারের ৪ টা ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে (৩১০০০) হাজার টাকা, ৬/তাহারিমা আক্তার, শিশু ভাতা,(৮০০০) ৭/ আছিয়া শিশু ভাতা (৮০০০) টাকা, আরো নাম না প্রকাশে বিশ কিছু ভুক্তভোগী বলেন আমাদের সাথে মিষ্টি কথা বলে ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। হালিমা বলেন আমি শাহানারা আক্তার বেদনার মাধ্যমে ভাতা করি। এবং হালিমা বলেন , বেদেনার স্বামী জড়িত আছে বলে আমার ধরনা কারণ আমি তার কাছে অনেক বার নালিশ করি সে সুধু সময় নেই বলে এই যে টাকা আমি দিয়ে দিচ্ছি।
হালিমা গওহর ডাঙ্গা গ্রামের সওকাত আলী মোল্লার মেয়ে, সাং- গওহর ডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।এই প্রতারক চক্রের সাথে যে বা যারা জড়িত আছে তাদের দ্রুত আইনের আনার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ। তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কাছে বিশেষ অনুরোধ আগামীতে কেহ যেন এই প্রতারণার শিকার না হয়। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।এবং সাঈদ সাহেবের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।