টুঙ্গিপাড়া থেকেঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া কুশলী ইউনিয়নের রামচদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্চনা বাড়ৈ (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।জানা যায় যে, অর্চনা বাড়ৈ ২০১৬ সাল থেকে রামচদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত চাকরি করতেছেন।সাংবাদিক রামচদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গেলে তার কাছে গেলে অনিয়মের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ২০২২ সালে আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল- ২২৫। আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ দি অনলাইনে আমাকে সরকার থেকে ৭০ হাজার টাকা দেন। এবং ২০২৩ সালে শিক্ষার্থী ১৬৭ জন সেই কারণে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু অর্চনা বাড়ৈ (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অধিক শিক্ষার্থী দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা উঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জাকিয়া খানম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যে এ বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে তা আমি জানি তবে আমার মনে হয় তিনি এমন কাজ করে নাই। প্রধানশিক্ষক জাকিয়া খানম বলেন আমরা সরকারের কাছে যে স্লিপ দেওয়া হয় তা অনিয়ম করার সুযোগ নাই। তার কাছে স্লিপ লিস্ট চাইলে তিনি বলেন আমি শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান এর সাথে কথা বলে জানাচ্ছি।তখন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এর দায়িত্ব ছিলেন বিদ্যা রতন বিশ্বাস তার সহযোগিতায় এমন কাজ করতেন এবং তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে বলে আমি এ সব কিছুই জানি না আর এ বিষয়ে আমি শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান স্যারের সাথে কথা বলে আপনাদের সব বিস্তারিত জানাবো। স্লিপে প্রাপ্ত টাকার যথাযথ ব্যবহার হয়নি। যেমন ১ টা নূতন প্রজেক্টরের দাম ১৮ হাজার টাকা। অথচ তিনি ভাউচারে লিখেছেন একটা প্রজেক্টর মেরামত করতে ১৭ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। আশ্চর্য! সেই প্রজেক্টর ভালো হয়নি তা ব্যবহার করা যায় না। সরকারি বরাদ্দের টাকা দিয়ে ওয়াসব্লক মেরামত করে লোহার দরজাগুলো এবং কেচিগেট খুলে প্লাস্টিকের দরজা লাগানো হয়েছে। অব্যবহৃত সেই লোহার দরজাগুলো এবং কেচিগেট স্টোর রুমে সংরক্ষিত ছিল।অফিসকে অবহিত না করে সেগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যা মোটেই আইনসিদ্ধ নয়।২০০র নিচে শিক্ষার্থী থাকলে স্লিপে ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা অথচ ১৬৫ জন শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও ২০০+ শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ ৭০,০০০ টাকা নিয়েছেন। তার মানে তথ্য গোপন করে বিশ হাজার টাকা বেশি নিয়েছেন।এটা নিশ্চয়ই অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়, অবশ্যই ইচ্ছাকৃত। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় দুর্নীতি-অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার যেন ব্যাপকভাবে জেঁকে বসেছে।
তাই উপর্যুক্ত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা।