নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী নেতাদের ইন্ধনে প্রবিণ শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রবীণ শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাথী ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইতে শুরু করেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক হামলার বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করা হয়েছে। যার অনুলিপি পিরোজপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার ও ভান্ডারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন (বিএসসি), শিক্ষক, ইকড়ি ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বয়স ৫০ উর্ধ্ব, তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নন। এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল হালিম দফাদার এর পরামর্শ ও নির্দেশে আওয়ামীলীগ নেতা এবং ওই স্কুলেরই শিক্ষক জাকির হোসেন (মেম্বার ১ নং ওয়ার্ড) এবং যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাচ্চু (মেম্বার ৫ নং ওয়ার্ড) ইকড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, এদের নেতৃত্ব এবং নির্দেশে আব্দুল হালিম গোমস্তা (আতরখালী) সহ এলাকার ২০-২৫ জন বখাটে স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করে শিক্ষক মিলনাতয়নে ঢুকে গিয়াস উদ্দিন (বিএসসি)কে বেদম ভাবে মারধর করেন। উক্ত ঘটনার সময় স্কুলের ছাত্র ছাত্রী এবং শ্রেণী শিক্ষকরা উপর থেকে গিয়াস উদ্দিন (বিএসসি) কে বাচাঁনোর জন্য বের হয়ে আসতে চাইলে আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্চু ও জাকির হোসেন মেম্বার সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে ভিতরে পাঠিয়ে দিয়ে কেচিগেট বাহির থেকে আটকে দেয়। তৎক্ষনাৎ আব্দুল হালিম গোমস্তা গিয়াস উদ্দিন (বিএসসি) কে প্রচন্ডভাবে মেরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে বিষয়টি গিয়াস উদ্দিন (বিএসসি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন ঐ শিক্ষককে।
এ ব্যাপারে বিক্ষুব্ধ কয়েকজন এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষক সমাজের মানসম্মান রক্ষার স্বার্থে আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন স্যারের লাঞ্ছনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি পূরণ করা না হলে পরবর্তীতে মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।