গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বর্নি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মুন্সির বিরুদ্ধে সি আর নারী ও পিটিশন নাম্বার :১৯৩/২০২৪ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ২০০ সংশোধনী ২০ এর ৯ (০১) ধারা মামলা করেন।
অভিযুক্তকারী মরিয়ম আক্তার লতা (২৭), স্বামী : শরীয়তুল্লাহ, সাং: বর্নি, ডাকঘর : বর্নি, থানা: টুঙ্গীপাড়া, জেলা: গোপালগঞ্জ। মামলার বাতি মরিয়ম আক্তার লতা বলেন বাদশা মুন্সীর আমার স্বামীর চাচতো ভাই। আমার শশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক। আমার সবামীর সাথে মাজে রাগারাগি হয় এক পর্যায়ে আমি আমার শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে সমাজ সেবক শফিকুল ইসলামের কাছে সব ঘটনা গুলা বলি তারপর তিনি আমাকে তার গোপালগঞ্জ বাসায় জেতে বলে। পরে আমি তার নিজ বাসায় যায় পরে দারোয়ান কে বলি বাসার মালিক কই তিনি বলেন স্যার উপরে আছে আপনি যান। পরে আমি তার কাছে গেলে নিতি আমাকে হাত ধরে বলে তুমি তোমার স্বামী শরিয়াতুল্লা কে ডিভোর্স দাও। আমি তোমাকে এক কোটি টাকার বিনিময়ে বিয়ে করবো। আমি রাজি না হওয়ায় আমার হাত ধরে বসে, আমার হাত তার কাছ থেকে ছাড়তে ব্যস্ত হয়ে যায় একপর্যায়ে ধর্ষক শফিকুল ইসলাম বাদশা আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে, এই ভিডিও ধারণ করে তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত ডেকে ধর্ষণ করতেন এবং ভয় দেখাতেন যে তোর স্বামীকে দেখিয়ে দেবো। এরপর শফিকুল ইসলাম বাদশা আমাকে ফোনে বলে, আমাকে খুশি করবি আর যদি আমাকে তুই খুশি না করিস তবে ফেসবুকে তোর স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দিব এবং এই ভিডিও ধারণ করে তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিতেন। একপর্যায়ে দ্বিতীয় দিন ৯ জুন সকাল ১০ ঘটিকায় আমি দ্বিতীয়বার তার নিজ বাসায় যায় এবং তিনি আমাকে ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু ক্ষমতাশীল শফিকুল ইসলাম বাদশা মামলা এফ আই আর করতে দেননি। ভুক্তভোগী লতা বলেন আমি গোপালগঞ্জ থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করি, কিন্তু ক্ষমতাশীল শফিকুল ইসলাম বাদশা তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে এবং গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ আমার মামলা নেননি বলে জানান সাংবাদিক এর কাছে, এবং বলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী লতা বলেন শফিকুল ইসলাম বাদশার ভাই একজন সাভার সার্কেল ও তার ছোট ভাই NSI সরকারি পরিচালক তিনি আমাকে তার ভাইদের কথা বলে ভয় দেখাতেন৷ এবং বলতেন তুই যদি আমার বিরুদ্ধে মামলা করিস তাতে আমার কিছুই হবে না আমার ভাইরা কি তা তুই জানিস।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্নি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাদশা তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে গোপালগঞ্জ থানায় থেকে মামলা উঠিয়ে দেয়।
পরবর্তী আমি গোপালগঞ্জে কোটে দর্শন মামলা করি। গোপালগঞ্জ কোর্ট তদন্ত-পূর্বক প্রতিবেদন পিবিআই এর কাছে পাঠায়।
তাই উদ্বোধন কর্মকর্তার কাছে বিষয়টা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমি ধর্ষণের বিচার চাই।