টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জ থেকেঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গমতাশীল বর্নি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশার চাকরি দেওয়ার নামে জনগনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ভুক্তভুগী সাংবাদিক জসিম মুন্সীকে NSI চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নেয় ক্ষমতাশীল বর্নি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশা।
৩ বছর যাবত চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাকে চাকরি না দিয়ে আরো টাকা দাবি করে, এক পর্যায়ে সাংবাদিক জসিম মুন্সী টাকা ফেরত চাইলে নানা অযুহাত দেন। এবং আমাকে বলে তো NSI তে চাকরি হবে পরিক্ষা ছাড়া কারন আমার ভাই একজন NSI সহকারী পরিচালক রাছেল মুন্সী। আর এক ভাই ঢাকা সাভার সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম । আমি পারি না এমন কিছু নাই তোর চাকরি দিয়ে দিবো। পরে চাকরি দিতে না পারায় তার কাছে টাকা চাইলে বলে শেখ জুয়েল ভাই এর পি এস জাহিদ ভাই কে টাকা দিছি সে টাকা না দিকে আমি কিভাবে টাকা দিবো। আমি তাকে প্রশ্ন করি টাকা আমি আপনাকে দিয়েছি আমি অন্য কাউকে চিনি না আমার টাকা টা দয়া করে ফেরত দেন। তিনি আমার ফোন রিসিভ করে না পরে আমি বাধ্য হয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বাসীকে জানায়, তারপর আমাকে ক্ষমতাশীল শফিকুল ইসলাম আমাকে মুঠোফনে ফোন দিয়ে বলে তুই কারো কাছে নালিশ করিশ না আমি তোর টাকা দিয়ে দিবো ১ সপ্তাহের মধ্য। পরে আমি চুপ হয়ে থাকি ১ মাস হয়ে যায় আমার ফোন রিসিভ করে না পরে আমি গ্রামের মুরুব্বীদের জানায় যে শফিকুল ইসলাম বাদশা আমার কাছ থেকে ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নেয় চাকরি দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু টাকা ফেরত চাইলে টাকা দেয় না। গ্রামের সব মুরুব্বীদের নিয়ে টাকা চাইলে সে মুরুব্বীদের কাছ থেকে দুই সপ্তাহ সময় নেয়। মুরুব্বীদের বলে আপনারা আমারে দুই সপ্তাহ সময় দেন আমি দুই সপ্তাহের ভিতর জসিমের টাকা দিয়ে দিবো। কিন্তু এক মাস হয়ে যাওয়ার পর আমাকে মুরুব্বিরা কিছু জানায় না ও শফিকুল ইসলাম বাদশা আমাকে ও কিছু জানায় না । আমি ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে না মুরুব্বী আমার চাচারা তাকে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করে না। এক মাস পর তার ছোট ভাই NSI সহকারী পরিচালক রাসেল মুন্সীর বিয়ের তারিখ পরে ।তখন সে বাড়ি আসার আগে তার ছোট ভাই রাসেল মুন্সী কে সেই গ্রামের মুরুব্বী কাছে পাঠায়। রাসেল মুন্সী সেই মুরুব্বীদের নিয়ে আমার কাছে আসে এবং আমাকে বলে জসিম ভাডি তুমি তো অনেক দিন যাবত অপেক্ষা করছো আর একটু অপেক্ষা করো আমি ২০ দিনের মধ্য তোমাকে NSI চাকরি বা তোমার টাকা ফেরত দিয়ে দিবো। মুরুব্বিরা ও বলে জসিম রাসেল যখন টাকা দিতে চাইছে তাহলে তাকে এই ২০ দিন সময় দেও। ২০ দিন পার হয়ে যায় কিন্তু আমাকে কিছু জানায় না। পরে আমি রাসেল কে ফোন দিলে সে আমাকে বলে জসিম ভাডি আমার দাদুর সাথে আমি পারি নাই তুই জেভাবে পারো টাকা আদায় করে দিও।
আমি আবারও মুরুব্বীদের কাছে বলি যে, শফিকুল ইসলাম বাদশা কি আমার টাকা দিবে না। পরে মুরুব্বীদেরা বলে জসিম আমরা তার সাথে পারলাম না তুমি যেভাবে পারো আদায় করে দিও আমরা তোমার সাথে আছি।
এর পরে ক্ষমতাশীল শফিকুল ইসলাম বাদশার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ হয় সে আমাকে মুঠোফোনে বলে জসিম এই দুঃসময়ে আমার ক্ষতি করিস না আমার। আমি তোর টাকা ২ সপ্তাহের মধ্য দিয়ে দিবো তারপর থেকে সে আর আমার সাথে যোগাযোগ করে না ।
গমতাশীল বর্নি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশার গ্রামের কয়েক জন কে চকিদারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয়।
তাই আমি একজন সাংবাদি হয়ে যদি গমতাশীল শফিকুল ইসলাম বাদশার কাছে প্রতারিত হয় তবে সাধারন জনগন কি করবে
শফিকুল ইসলাম বাদশার ভাই একজন সাভার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও আর একজন NSI সহকারী পরিচালক তাদের ক্ষমতার জন্য তার বড়ো ভাই বাদশা এলাকায় ক্ষমতা দেখায় আর চাকরি দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। টাকা ফেরত চাইলে সে বলে টাকা দেবো না চাকরি ও দেবো না পারলে আদায় করে নিস।
তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল কর্মকর্তা বৃন্দের কাছে অনুরোধ এবং জোর দাবি সাংবাদিক জসিম মুন্সীর।
জসিম মুন্সীর সাথে যে, বাদশা মুন্সী যে কাজ করছে আগামীতে এমন কাজ জেনো কোনো নেতা না করতে পারে তার সু ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সদয় মর্জি হোক।